ডেস্ক রিপোর্ট :: কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের একটি বসতিসরকারের নিজস্ব উদ্যোগে সম্পাদিত রোহিঙ্গা জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। সোমবার এক অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকদের এ বিষয়ে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের একাধিক দেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক ও জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিসহ প্রায় ৪০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য এ জরিপ চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, গত বছর জরিপ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। কূটনীতিকরা সরকারের জরিপ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর নাগাদ চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাব। বাংলাদেশে কত রোহিঙ্গা আছে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণার পাওয়ার জন্য সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।’ জরিপ থেকে বাদ পড়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে যে কেউ জরিপের আওতায় আসতে পারবে।’ কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালী জেলায় এ জরিপ চালানো হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য উপস্থাপন করে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জরিপের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তাদের সংখ্যা জানা। তবে তাদের জোর করে ফেরত পাঠানোর
কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কূটনীতিকরা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং জরিপের উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন। যারা এ জরিপ থেকে বাদ পড়েছে, তাদের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, বাদ পড়া রোহিঙ্গারা আগামী দুই মাসের মধ্যে জরিপের আওতায় স্বেচ্ছায় আসতে পারবে। রোহিঙ্গা নিয়ে এখনই সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হবে।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাস করে বলে ধারণা করা হয়। তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
পাঠকের মতামত